logo
news image

নাটোর-১ আসনে সাংসদের উঠান বৈঠকে সংঘবদ্ধ তৃণমূল আওয়ামী লীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক।  ।  
সরকারের উন্নয়নমূলক কাজে তৃণমূলের নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত, আগামী দিনের উন্নয়ন ভাবনা ও কর্মযজ্ঞ সাধারণ জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে নিয়মিত চলছে উঠান বৈঠক। আর বর্তমান সাংসদ এ্যাড. আবুল কালাম আজাদের এ কর্মসূচি তৃণমূলে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। গত ৪ বছরে তিনি প্রায় ৩ শতাধিক উঠান বৈঠক করেছেন। তৃনমূল অজো পাড়া মহল্লায় অসহায় সুবিধাবঞ্চিত নারীদের সমস্যার কথা শুনছেন ও তাদের কাছে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন বার্তা ও সুবিধাদি প্রদান করছেন।
ব্যতিক্রমী এ উঠান বৈঠক কোন খোলা মাঠে নয়, কোনো একটি বাড়ির আঙ্গিনাতেই আয়োজন করা হয়। সেখানে কোন সময় চেয়ার- টেবিল আবার কোন কোন সময় মাদুর বিছিয়ে বা খোলা আকশের নিচে চলছে এ বৈঠক। দলমত নির্বিশেষে উপস্থিত সবাইকে একই কাতারে এনে জড়ো করে বসানো হয়। সেখানে বিশেষ দৃষ্টি থাকে তৃণমূলের নারীদের উপর। তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়- এলাকার বিভিন্ন সমস্যা, সমাধান ও সম্ভাবনার কথা। তাদের চাওয়া ও পাওয়ার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার বার্তা তৃণমূলে পৌঁছে দিচ্ছেন উপস্থিত নেতারা।
আর এই উঠান বৈঠকের মাধ্যমে তৃণমূল আওয়ামী লীগে ব্যাপক সাড়া জাগাচ্ছে বলে জানিয়েছেন লালপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আফতাব হোসেন ঝুলফু, সাধারন সম্পাদক ইসাহাক আলী, বাগাতিপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা সুকুমার মুখার্জি, আকরাম হোসেন, আজিজুল হাকিম প্রমুখ।
লালপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আফতাব হোসেন ঝুলফু জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে কি পরিমাণ গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা রয়েছে- তা তৃণমূলে না আসলে কেউ অনুধাবন করতে পারবেন না। উঠান বৈঠকে নারীদের মুখে বর্ননা শুনলে তা বোঝা যায়। সেই সাথে লালপুর তথা স্থানীয় সাংসদের নির্বাচনী এলাকায় পল্লী বিদ্যুৎ, রাস্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও আর্থ সামাজিক উন্নয়ন কাজ হয়েছে। যার সুফল নারীরা ভোগ করছেন। ফলে জননেত্রী শেখ হাসিনার নাম নারীদের নিকট এখন অনুপ্রেরণা, আবেগ, সাবলম্বী হয়ে বেচে উঠার এক উজ্জ্বল নাম।
উঠান বৈঠকে অংশ নেয়া রামপাড়া গ্রামের গৃহবধূ হালিমা আকতার বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার নেতাকর্মীদের আমাদের কাছে পাঠাবেন এটা আমরা কখনো কল্পনাও করিনি। স্থানীয় সাংসদ আবুল কালাম আজাদ আমাদের মাঝে এসে বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনছেন।দ্রুত সমাধানের ক্ষেত্রে সহযোগীতা করছেন। এর আগে কোন রাজনৈতিক দল আমাদের এত কাছে আসেনি।
মজমপুর গ্রামের আরজিনা বেগম বলেন, জীবনে প্রথম দেখলাম নেতারা বাড়ীর উঠানে আসছেন, বসছেন পাশাপাশি সেবার মাধ্যমে সবার শান্তিপূর্ন সহাবস্থানের  পথ বাতলে দিচ্ছেন। আর আমাদের হাতে মাইক তুলে দিয়ে সমস্যার কথা শুনছেন।
পালিদেহা গ্রামের গৃহবধূ কল্পনা আক্তার বলেন, উঠান বৈঠকের মতো একটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে জীবনের প্রথম সমস্যার কথা তুলে ধরেছি। সরকার যে আমাদের তৃণমূলের খবর রাখে এটাই তার প্রমাণ। সমস্যার কথা বলার ১৫ দিনের মধ্যে আমি বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়েছি।
বাগাতিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবর রহমান বলেন, সাধারণ জনগণের অংশগ্রহণে উঠান বৈঠক কর্মসূচির মাধ্যমে তৃণমূল আওয়ামী লীগের গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় সাংসদকে সাথে নিয়ে তারা জনগণের বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনছেন এবং জনসাধারণকে সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও দিচ্ছেন।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top