logo
news image

লালপুরে অনাবৃষ্টিতে ব্যাহত রোপা আমনের চাষ

নিজস্ব প্রতিবেদক।  ।  
আশ্বীনের ২২ দিন পার হলেও কাটেনি ভ্যাপসা গরম, কোথাও নেই এক ফোটা পানি। পদ্মা নদী বিধৌত সর্বনিম্ন বৃষ্টিপাত ও উষ্ণতম নাটোরের লালপুর উপজেলায় রোপা আমন ধানের ভরা মৌসুমে প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পানির অভাবে ব্যাহত হচ্ছে রোপা আমন ধানের চাষ।
অনাবৃষ্টিতে উপজেলার আমন ধানের ক্ষেত ফেটে যেতে শুরু করেছে। ক্ষেতে  বেড়েছে পোকা-মাকড়ের উপদ্রপ। এ অবস্থায় বিকল্প হিসেবে সম্পূরক সেচ দিয়েও তেমন উপকার পাচ্ছে না চাষীরা। এতে করে আমন চাষ নিয়ে হুমকি মুখে পড়েছেন উপজেলার কৃষকরা।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ধান ক্ষেত গুলি ঘুরে দেখা যায়, প্রায় ধানের গাছ থেকে শীষ বের হচ্ছে। এ সময় প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারণে আমন ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন এই অঞ্চলের চাষীরা।
উপজেলার স্থানীয় ধান চাষীরা বলছেন, এখনকার প্রায় জমির ধানেই শীষ আসতে শুরু করেছে উপর বৃষ্টি না হওয়ার কারনে এখানকার প্রায় জমিতে জমে থাকা পানি শুকিয়ে গেছে। অনেক জমিতে সম্পূরক পানি সেচ দেওয়া হয়েছে তবে যেসব জমিতে সেচ দেওয়া হয়নি, সেসব জমির ধানগাছ মরে যাচ্ছে। অবার জমিতে সেচ দেওয়া হলেও তাতে তেমন লাভ হচ্ছে না বলে জানিয়েছে তারা। তারা আরো বলেন, উপর বৃষ্টি না থাকায় উপজেলার ধান ক্ষেত গুলিতে পোকা-মাকড়ের আক্রমন দেখা দিচ্ছে। এছাড়াও সম্পূরক সেচ দিতে অধিক মূল্য গুনতে হচ্ছে চাষীদের পাশাপাশি ফলন কমের আশঙ্কায় দিন কাটছে এই অঞ্চলের কৃষকদের।
তারা আরো বলেন, আমাদের এলাকায় বৃষ্টির উপর ভরসা করে বর্ষা মৌসুমে শুধু মাত্র রোপা আমনের চাষ করে থাকি। বছরের শুরুতে বৃষ্টিপাত হলেও ধানের ভরা মৌসুমে বৃষ্টি অভাবে ধান ক্ষেতের মাটি ফেটে যাওয়ায় ধানের ক্ষতি হচ্ছে। বিকল্প হিসেবে পাম্প দিয়ে জমিতে পানি সেচ দিচ্ছ।
এখন ধানের শীষ বের হওয়ার সময় প্রয়োজনীয় বৃষ্টি না হওয়ার কারনে ধানের ঠিকমতো শীষ বের হচ্ছেনা। বৃষ্টির পানি ছাড়া সেচ দিয়েও লাভ হচ্ছে না। মাঠে পানি না থাকার কারনে ধানে পোকা-মাকোড় ও পচোন রোগের দেখা দিয়েছে।
লালপুর উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুল ইসলাম খাঁন বলেন, এ বছর উপজেলায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ হয়েছে। প্রায় ধানেই এখন শীষ আসছে।  তবে বৃষ্টি না হওয়ার কারনে যে সকল জমির পানি শুকিয়ে গেছে সে সকল জমিতে প্রয়োজনীয় সম্পূরক পানি সেচ ও রোগবালাই রোধে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষক পর্যায়ে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পরামর্শ অনুযায়ী কৃষক চাষাবাদ করলে আশা করছি ফলন কম হবে না।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top