logo
news image

ভালবাসায় সিক্ত হলেন চেয়ারম্যান রমজান

নিজস্ব প্রতিবেদক।  ।  
দলীয় নেতাকর্মীদের ভালবাসায় সিক্ত হলেন নাটোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান। শুক্রবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে নাটোরের বনপাড়া বাইপাস মোড় এলাকায় তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। গত ২৭ সেপ্টেম্বর ৬দিনে সরকারি সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডন হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউওয়ার্কের জাতিসংঘের ৭৩তম অধিবেশনে যোগ দেন। জাতিসংঘের এই সফরে সঙ্গী হিসাবে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান আমন্ত্রন পান।
লন্ডন ও যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংগঠনের দেওয়া সংবর্ধনায় নাটোরবাসি পক্ষ থেকে তিনি ছিলেন সরব।
২৮ সেপ্টেম্বর য্ক্তুরাষ্ট্রে বসবাসকারি প্রবাসী নাটোর জেলাবাসীর আয়োজনে নাটোরের যুব সমাজের অহংকার, সফল উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজানকে ইউএসএ’র স্টারলিংক এভিনিওতে অবস্থিত আল আকসা রেস্টুরেন্টে এক সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। সেখানে তিনি নাটোরের প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও তাদের আতিথীয়তায় মুগ্ধ হন। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একাদশ জাতিয় সংসদ নির্বাচনে গণমানুষের এই নেতা বলেন, দেশ এখন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন দ্রষ্টা শেখ হাসিনার হাতে নিরাপদ। দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের পথে।
উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে তিনি আবারও দলমত নির্বিশেষে নৌকার জনমত গঠনের জন্য প্রবাসীদের প্রতি আহ্বনা জানান। তিনি একই সাথে এই অধিবেশনে তাকে সফর সঙ্গী হিসাবে মনোনিত করাতে মানবতার দিশারী বিশ্ব নেতা শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি আরও বলেন, দেশ আজ আর তলা বিহীন ঝুড়ি নয়। দেশ শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুসহ অন্যান্য বড় বড় স্থাপনা তৈরি হচ্ছে। যা স্বনির্ভরতার প্রতীক। তিনি সেখানে অবস্থানরত প্রবাসীদের নিজ মাতৃভূমিতে সাধ্যমত বিনিয়োগের জন্য আহ্বান জানান।
জাতিসংঘের অধিবেশন শেষ করে প্রধানমন্ত্রীর সাথে গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে আবুধাবী হয়ে দেশে ফিরেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান। এর পরে শুক্তবার সকালে তিনি নাটোরের উদ্দ্যেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। সকাল থেকেই তার আগমন উপলক্ষ্যে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রাণ-চাঞ্চল্য দেখা যায়। নাটোরের বিভিন্ন মোড়ের চা-স্টল গুলোর প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল রমজানে বিদেশ যাত্রা ও তার শুভাগমন। দত্তপাড়া বিসিক শিল্প মহল্লার স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, নাটোরের তৃণমুল আওয়ামীলীগের ভরসার স্থল বর্তমানে রমজান। প্রধানমন্ত্রী তাকে জাতিসংঘের সফরে নিয়ে আমাদের গর্বিত করেছেন।
আজ তিনি শুনলাম নাটোরে আসছেন। চাস্টলে বসে আমরা তারই গল্প করছিলাম। আব্দুল বারেক নামের আরও একজন বলেন, আহাদ-শিমুলকে তো দেখলাম। রমজান ছাড়া নাটোরের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তিনি উপজেলা পরিষদে থাকায় সৎ সততার মাধ্যমে কিছু কাজ হয়েছে।
তাকে মনোনয়ন দিলে আওয়ামী লীগ বাঁচবে।
এদিকে সকাল গড়িয়ে দুপুর হতেই শহরের ফুলবাগান উপজেলা চত্তর, কান্দিভিটুয়া বটতাল, বকুল তলা, বনবেলঘরিয়া বাইপাস, স্টেশান বাজার, বড়হরিশপুর বাইপাস, জেলখানা আকরামের দোকান, দত্তপাড়া বাজার, হয়বতপুর বাজারসহ গুরুত্বপূর্ন স্থানগুলোতে নেতাকর্মীদের জড় হতে দেখা যায়। এরপরে তারা একসাথে বিকাল চারটার দিকে বনপাড়ার উদ্দ্যেশে রওনা দেন। নাটোর-বনপাড়া মহাসড়কে মোটর সাইকেল ছাড়া যেন আর কোন যান বহন নেই! এমন এক পরিস্থিতি দেখতে পাওয়া যায়।
বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে নাটোরবাসীর প্রাণ প্রিয় নেতা গাড়ি থেকে নামলে নেতা-কর্মীদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা যায়। প্রিয় নেতাকে এক নজর দেখতে নাটোর-ঢাকা মহাসড়ক অল্প কিছুক্ষণের জন্য অবরুদ্ধ হয়ে যায়।
আলহাজ্ব শরিফুল ইসলাম রজমান খুবদ্রুত নেতা-কর্মীদের নিয়ে পার্শবর্তী মার্কেটের নিচে অবস্থান নেন। সেখানে তিনি এক সংক্ষিপ্ত বক্তেব্যে বলেন, সর্বপ্রথম কৃতজ্ঞতা সৃষ্টিকর্তার প্রতি, তারপরই মানবতার দিশারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতি। তার ডাকে সাড়া দিয়েই তিনি জাতিসংঘের অধিবেশনে গিয়েছিলেন।
তার বক্তব্যের মধ্যে জয় বাংলার ধ্বনিতে এলাকার আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত হতে থাকে। এরপরে তিনি নেতাকর্মীদের নিয়ে এক মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে তিনি আহম্মেদপুর, সৈয়দ মোড় ও হয়বতপুরসহ কয়েকটি এলাকায় সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
এর পরে তিনি নাটোরের গুরুত্বপূর্ন সড়ক গুলো প্রদক্ষিণ শেষে জেলা আওয়ামীলীগের অস্থায়ী কার্যালয়ের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পন করেন। পরে সবাইকে নিয়ে কাছারিমাঠে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, আগামী জাতিয় সংসদ নির্বাচনে দল যাকেই মনোনয়ন দেবে তার হয়ে সবাই মিলে আমরা কাজ করব। আগামী জাতিয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি-জামায়াতে কুচক্রিরা আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তিনি হুশিয়ার উচ্চারণ করে বলেন, গত জানুয়ারীর জ্বালাও পোড়াও আর করতে দেওয়া হবে না।
বিএনপি আজ দেওলিয়া হয়ে জনবিচ্ছিন্ন একটি দল। তাদের উপর সাধারণ জনগণের কোন আস্থা নেই। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। মানুষ উন্নয়ন চাই, তারা ভাল ভাবে বাঁচতে চাই। তারা আর আগুন সন্ত্রাস চাই না। তাই সকলকে দলমত নির্বিশেষে আওয়ামীলীগের পতাকা তলে সমবেত হওয়ার আহ্বনা জানান। তবেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা নির্মান করা সম্ভব হবে।

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top