রাজু আহমেদ, সিংড়া (নাটোর)
কঠোর পরিশ্রম, সাহস,সততা, ভালোবাসা এবং মেধা সব মিলিয়ে শক্তি জুগিয়েছে, তাই পিছনে ফিরতে হয়নি। প্রথমে বাড়ির আঙিনা পরবর্তীতে পুকুর পারে কলার চাষ শুরু করেছিলেন। বর্তমানে ৬টি পুকুরে আবাদ করছেন তিনি। বলরামের মত অনেকেই পুকুর পারে আবাদ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।
নাটোরের সিংড়া উপজেলার চৌগ্রাাম গ্রামের বলরাম হাওলাদার। একসময় সংসারের অভাব, অনটন তাঁকে পীড়া দিতো। কিন্তু নিজের পায়ে দাঁড়ানোর শক্তি জুগিয়েছে তাঁর মেধা,পরিশ্রম এবং সততার সমন্বয়ে।
বললাম জানান, ২০১০ সালের দিকে স্বল্প পরিসরে শুরু করেছিলাম, তারপর থেকে লাভের মুখ দেখি। এরপরই বিভিন্ন পুকুর লিজ নিয়ে আবাদ শুরু করি। বর্তমানে ৬ টি পুকুরে দেশি,বিদেশি জাতের কলা চাষ করেছেন। প্রায় ২০ হাজার গাছ রয়েছে। বছরে তিন চার বার কলা বিক্রি করেন। বাজারে কলার চাহিদা ব্যপক থাকায় তাকে চিন্তা করতে হয়নি। তিনি আরো জানান, এবছরই প্রায় ৬ লাখ টাকার কলার বিক্রি থেকে আয় হয়েছে। ভবিষ্যৎ এ প্রতিটা পুকুর পারে কলা আবাদ শুরু করবেন বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার সাজ্জাদ হোসেন জানান, পুকুরে কলা চাষে লাভ বেশি, তেমন কোন পরিচর্যা ছাড়াই চাষীরা লাভবান হতে পারে। তিনি আরো বলেন, এ ব্যাপারে আমরা বিভিন্ন সময়ে চাষীদের প্রশিক্ষন এবং পরামর্শ দিয়ে থাকি।
সাম্প্রতিক মন্তব্য