logo
news image

পাঁচ নারী ছিনতাইকারী...

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক গ্রামের পাঁচ নারী রাজশাহীতে এসেছিলেন ছিনতাই করতে। মঙ্গলবার (১৮সেপ্টেম্বর) ছিনতাইয়ের সময় তাঁরা ধরা পড়েছেন। তাঁদের নামে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন থানায় তাঁদের নামে ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে।
এই পাঁচ নারীর নামে অস্ত্রের মুখে ছিনতাইয়ের চেষ্টার অভিযোগে নগরের রাজপাড়া থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার বাদী রাজশাহী মহিলা কলেজের ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক রায়হানা আক্তার জাহান। তাঁর বাড়ি নগরের মহিষবাথান এলাকায়।
এই পাঁচ ছিনতাইকারীর সবার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ধরমণ্ডল গ্রামে।
পাঁচ ছিনতাইকারীর বিষয়ে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাফর  বলেন, এঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে চুরি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে মামলা রয়েছে। গলার চেইন চুরি ও ছিনতাই করতেন তাঁরা।
রাজশাহীতে মামলার এজাহারে রায়হানা আক্তার জাহান বলেছেন, তিনি প্রতিদিনের মতো নিজের কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য মঙ্গলবার (১৮সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে নয়টার সময় নগরের হড়গ্রাম বাজারের দিগন্তপ্রসারী ক্লাবের মোড়ে আসেন। সেখান থেকে তিনি একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় ওঠেন। অটোরিকশার নম্বর রাসিক-খ-৭৩১১। তাঁকে রিকশায় উঠতে দেখে সেখানে অপেক্ষমাণ আরও পাঁচজন নারী যাত্রী অটোরিকশায় ওঠেন। তখন তিনি এত যাত্রীর সঙ্গে যেতে আপত্তি করেন। তিনি সাধারণত একাই একটি অটোরিকশা নিয়ে যান। তাঁকে আপত্তি করতে দেখে ওই নারীরা কেউ তাঁকে আন্টি, কেউ তাঁকে দাদি সম্বোধন করে বলতে থাকেন, ‘চলেন, এইটুকু রাস্তা একসঙ্গেই যাই।’ তারপর তিনি সম্মত হন।
রিকশাটি ক্লাবের মোড় থেকে প্রায় ১০০ গজ দক্ষিণে উকিলবারের মেইন গেটের সামনে যেতেই এই পাঁচ নারীর মধ্যে রায়হানা আক্তার জাহানের পাশে বসা একজন নারী তাঁর পিঠের দিকে হাত দেন। তিনি প্রথমে মনে করেছেন, চাপাচাপি করে বসার কারণে এমনটি হচ্ছে। পরপর তিনবার হাত দেওয়ার পরে তিনি বুঝতে পারেন, নারীটি তাঁর গলার চেইন খুলে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ছিনতাইকারী বলে চিৎকার করতে থাকেন। রিকশা থামাতে বলেন। আর মেয়েটির হাতের ওপর তিনি তাঁর ছাতা দিয়ে আঘাত করতে থাকেন। এরই মধ্যে পাঁচ নারী তাঁকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরে বলেন, কাকে কী বলছেন, তাঁরা এই ধরনের মানুষ নন। চিৎকার করার সময় তাঁদের একজন তাঁর গলা চেপে ধরেন। একজন চাকু বের করেন। রিকশা থামার সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা নেমে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু সেখানে টহল পুলিশ ছিল। তারা চারদিক থেকে ঘিরে ধরে। এ সময় এই নারীরা বলেন, তাঁরা কেউ কাউকে চেনে না। তখন তিনি প্রতিবাদ করে বলেছেন, তাঁরা একই দলের মানুষ। একই সঙ্গে রিকশায় উঠেছেন। এ সময় তাঁদের দেখে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নারী কাউন্সিলর ফেরদৌসী বলেন, কিছুক্ষণ আগে তিনি এই পাঁচজনের সঙ্গে সাহেববাজার থেকে এখানে এসেছেন। তাঁদের আচরণ তাঁর সন্দেহজনক বলে মনে হয়েছে। পরে পুলিশ তাঁদের ধরে নিয়ে যায়।
রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, এঁরা দুর্ধর্ষ ছিনতাইকারী। তাঁরা গতকাল সকালেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে রাজশাহীতে নেমেই ছিনতাইয়ে নেমেছিলেন। সূত্র: প্রথম আলো

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Top